[caption id="attachment_4608" align="alignnone" width="618"] কাহালুতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ
চাষে লাভবান হলেন গুড়বিশা গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান[/caption]
বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মালা ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মেহেদী হাসান অসময়ে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। সবজির আইলের পাশে কিংবা পতিত জমিতে মালচিং পদ্ধিতিতে সে তরমুজ চাষ করছেন। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এবার কাহালুতে অসময়ে চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। অসময়ে চাষকৃত রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলছে মাঁচাতে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেহেদী হাসান ২৫ শতক জায়গায় প্রদর্শনী সহ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সুস্বাদু তরমুজের আবাদ করেছেন। অসময়ে তরমুজ চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। সারা বছরই এখন চাষ হবে উচ্চমূল্যের অফসিজন তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে গাঢ় সবুজ। খেতেও ভালো ও বেশি দামে বিক্রিও করতে পারবেন তিনি। এক সময় বছরে তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলবো সারা বছরই।
মাল া ইউনিয়নের গুড়বিশা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মেহেদী হাসান নিজ ক্ষেতে তরমুজ পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তরমুজের মাচার নিচে সারি সারি রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলে আছে। বালাইমুক্ত রাখতে তরমুজ বাগানে ফাঁদ বসানো হয়েছে। গত মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহে তরমুজের চারা রোপন করা হয়েছে। তরমুজগুলোকে নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। কাহালু কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজের ফলনও বেশ ভালো।
উক্ত তরমুজের বাগান পরিদর্শন করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো.আখেরুর রহমান, কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মীর কাশিম আলী, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. মাসুদ রানা, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. আল আমিন প্রমূখ।
মেহেদী হাসান জানান, আমি পতিত ২৫ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী সহ প্রায় ৪বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে তরমুজের এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আমি সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তরমুজ গাছের বয়স প্রায় তিন মাস। তিনি আরও জানান, আমি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজের বাগান তৈরি করি। ৪ বিঘা জমিতে আমার মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং আমি তরমুজ বিক্রি করেছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তরমুজের বাজার ভাল না থাকায় লাভের পরিমাণ কম হয়েছে। বাজার ভালো থাকলে আমি ৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারতাম। আমি আশা করছি ২য় বার যে তরমুজের বাগান তৈরি করছি এ বাগান থেকে আমি আরও বেশি লাভবান হবো।
কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান বিপিএএ স্যার এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় আমি, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সহ উপ-সহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষে জনগণকে পরামর্শ দিচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে মেহেদী হাসানকে মালচিং পদ্ধিতিতে তরমুজের বাগান তৈরি প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ প্রদান এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্ধুদ্ধ করা এবং কৃষকরা চাষ করে সফল হয়েছেন। তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। তরমুজে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ ছাড়াও এই পদ্ধিতিতে বেগুন, টমোটো ও শসা চাষ করা হচ্ছে।
ক্যাপসনঃ বগুড়ার কাহালুর গুড়বিড়া গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে মেহেদী হাসান এর মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজের এ বাগান পরিদর্শন করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ। প্রতিনিধিঃ
কাহালুতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ
চাষে লাভবান হলেন গুড়বিশা গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান
কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মাল া ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র মেহেদী হাসান অসময়ে তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। সবজির আইলের পাশে কিংবা পতিত জমিতে মালচিং পদ্ধিতিতে সে তরমুজ চাষ করছেন। এটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও এবার কাহালুতে অসময়ে চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। অসময়ে চাষকৃত রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলছে মাঁচাতে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেহেদী হাসান ২৫ শতক জায়গায় প্রদর্শনী সহ পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে সুস্বাদু তরমুজের আবাদ করেছেন। অসময়ে তরমুজ চাষ করে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। সারা বছরই এখন চাষ হবে উচ্চমূল্যের অফসিজন তরমুজ। এসব তরমুজ দেখতে গাঢ় সবুজ। খেতেও ভালো ও বেশি দামে বিক্রিও করতে পারবেন তিনি। এক সময় বছরে তিন মাস বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন মিলবো সারা বছরই।
মাল া ইউনিয়নের গুড়বিশা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মেহেদী হাসান নিজ ক্ষেতে তরমুজ পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তরমুজের মাচার নিচে সারি সারি রঙ-বেঙয়ের তরমুজ ঝুলে আছে। বালাইমুক্ত রাখতে তরমুজ বাগানে ফাঁদ বসানো হয়েছে। গত মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহে তরমুজের চারা রোপন করা হয়েছে। তরমুজগুলোকে নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। কাহালু কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজের ফলনও বেশ ভালো।
উক্ত তরমুজের বাগান পরিদর্শন করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো.আখেরুর রহমান, কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মীর কাশিম আলী, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. মাসুদ রানা, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. আল আমিন প্রমূখ।
মেহেদী হাসান জানান, আমি পতিত ২৫ শতাংশ জমিতে প্রদর্শনী সহ প্রায় ৪বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে তরমুজের এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আমি সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তরমুজ গাছের বয়স প্রায় তিন মাস। তিনি আরও জানান, আমি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজের বাগান তৈরি করি। ৪ বিঘা জমিতে আমার মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং আমি তরমুজ বিক্রি করেছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তরমুজের বাজার ভাল না থাকায় লাভের পরিমাণ কম হয়েছে। বাজার ভালো থাকলে আমি ৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারতাম। আমি আশা করছি ২য় বার যে তরমুজের বাগান তৈরি করছি এ বাগান থেকে আমি আরও বেশি লাভবান হবো।
কাহালু উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান বিপিএএ স্যার এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় আমি, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সহ উপ-সহকারি কৃষি অফিসারবৃন্দ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ চাষে জনগণকে পরামর্শ দিচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে মেহেদী হাসানকে মালচিং পদ্ধিতিতে তরমুজের বাগান তৈরি প্রদর্শনীর জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ প্রদান এবং পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উন্নত জাতের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে কৃষকদের অসময়ে তরমুজ চাষে উদ্ধুদ্ধ করা এবং কৃষকরা চাষ করে সফল হয়েছেন। তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। তরমুজে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন বেশি হবে। তিনি আরও বলেন, মালচিং পেপার ব্যবহার করে তরমুজ ছাড়াও এই পদ্ধিতিতে বেগুন, টমোটো ও শসা চাষ করা হচ্ছে।
ক্যাপসনঃ বগুড়ার কাহালুর গুড়বিড়া গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে মেহেদী হাসান এর মালচিং পেপার ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজের এ বাগান পরিদর্শন করেন বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ। প্রতিনিধিঃ