[caption id="attachment_4546" align="alignnone" width="618"] চলন্ত যাত্রীবাহী দোলনচাঁপা ট্রেনে দোল খাচ্ছিল সাপটি[/caption]
বগুড়া সংবাদ :রাসেল ভাইপা’র সাপ আতংকের মধ্যে এবার যাত্রীবাহী চলন্ত দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে সাপ। যেন বাতাসের সাথে দোল খাচ্ছে। গত বুধবার ২৬ জুন সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে প গড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস চলন্ত ওই ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পায় ট্রেন ভ্রমনে যাত্রীরা। এরপর যাত্রীরা আতংকিত হয়ে যায়, আবার কৌতুহল কেউ কেউ ভিডিও করে। ১৭ সেকেন্ডের একটি ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় একটি সাপ ট্রেনের ছাদে নড়াচড়া করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন সন্ধ্যার দিকে ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পায় যাত্রীরা। আর এতে পুরো ট্রেনে আতংক ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ের লোকজন সাপটি উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে। তবে ট্রেনটি চলন্ত থাকায় সাপটি সেই মহুর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই। হঠাৎ ট্রেনের ছাদে একটি সাপ দেখতে পাওয়া যায় আর এতেই ট্রেনের মধ্যে সবাই আতংকিত হয়ে পড়ে। অনেক যাত্রী ধারণা করছে সাপটি রাসেল ভাইপা’র হতে পারে। অবশ্য সাপটি রাসেল ভাইপা’র কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ট্রেনটি প গড়ে পৌছার পর রেলওয়ের কর্মচারীরা সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। তবে পুরো ট্রেন তল্লাশি করেও সাপটি তারা খুঁজে না পাওয়াই সাপটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
ট্রেনের এফএএসডি এ পাওয়ার কার ড্রাইভার শাহিনুর ইসলাম বলেন, সাপটি পাওয়ার কারের ইঞ্জিনের বগির উপর ছিল। যেই বগির উপর দেখা গিয়েছে সেই বগি আমাদের সান্তাহার ডগেই ছিল। কিন্তু আমরা রাতে কোনো কিছু দেখতে পাইনি। দিনাজপুর পার হওয়ার পর পার্বতীপুর এবং চিনির বন্দরের মাঝখানে দেখা যায়। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে একজন দেখতে পায়। পরে আমাদের একজন স্টাফ ভিডিও করে। বিষয়টি আমরা পীরগঞ্জ স্টেশনে জানিয়েছি। ডিআরএম স্যরকে জানানো হয়েছে। তবে সাধারণ কোনো লোক উপরে উঠতে ভয় করছিল। এরপর রুহিয়া স্টেশনে খোঁজ করা হয়, সেখানেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে প গড়ে পৌঁছার পর, সেখানেও পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি দুই বগির মাঝখানে যে রাবার থাকে ওই রাবার থেকে বের হতে পারে। ওই রাবারের মধ্যে আবার পাতাও ছিল। ওই বগিটি সৈয়দপুর থেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যখন বগিতে পানি দেওয়া হয়, তখন কিন্তু কেউ সাপ দেখতে পায়নি। তবে ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত ট্রেনের সকল যাত্রীরা আতংকিত ছিল। আমরা আরও বেশি আতংকিত ছিলাম। কারন আমাদের পাওয়ার কারের উপরেই ছিল সাপটি। তিনি বলেন, রাসেল ভাইপা’র না হলেও সাপটি বিষাক্ত ছিল বলে ধারণা করছি।