প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৪, ১:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৩০, ২০২৪, ১১:৪৪ পি.এম
ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার টাকা আত্মসাত অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা
[caption id="attachment_3841" align="alignnone" width="750"] ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার টাকা আত্মসাত অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখা থেকে গ্রাহকের আমানতের হিসাব থেকে প্রতারনার মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাত করা ঘটনায় ক্যাশিয়ার সুজন রহমান তার বাবা ও মাতার বিরুদ্ধে এই প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইসলামি ব্যাংক এজেন্ট শাখার স্বত্বাধিকারি উপজেলা গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে ওই ব্যাংকের ক্যশিয়ার সুজন রহমান (২৭), তার বাবা এনামুল হক (৪৬) ও মাতা রুবিয়া খাতুন (৪২)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাহাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহার ও গ্রাহক সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে আদমদীঘি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম তার স্বত্বাধিকারি হিসাবে একটি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ব্যাংকিং এজেন্ট শাখা ৬ জন কর্মচারি নিয়ে প্রায় ৫ বছর যাবত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত এজেন্ট ব্যাংক পরিচালনার জন্য ১নং আসামী সুজন রহমানকে ক্যাশিয়ার হিসাবে শুরু থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকে ৩ হাজার ৫০০ জন গ্রাহক ব্যাংকের অনলাইন এক্যাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করে আসছিলেন। গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ক্যাশিয়ার সুজন রহমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল। গত ২৬ মে রোববার ওই ব্যাংকে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে এসে দেখেন তাদের একাউন্টে কোন টাকা নেই। এ নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্ঠি হলে ব্যাংকের স্বত্বাধিকারি নুরুল ইসলাম তাদের ব্যাংকের অনলাইন একাউন্টে হিসাব নিকাশ চেক করে দেখতে পান গ্রাহক মাতাপুর গ্রামের ফরিদা বেগম, পালনকুড়ি গ্রামের রেহেনা, দীঘিরপাড় এলাকার এমদাদুল হক, ঝাকইড় গ্রামের আজিজার রহমান, বাহাদুরপুর গ্রামের মাহফুজা বেগমসহ ৪০ জন গ্রাহকের একাউন্টে অভিনব কায়দায় তাদের হিসাব নম্বরে টাকা জমা না করে প্রতারনার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অপর আসামীদের সহযোগিতায় ব্যাংকের হিসাব থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাত করে উধাও হয় ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন রহমানসহ তার বাবা মা। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী মামলা দায়ের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এই ব্যাংকে অধিকাংশ প্রবাসিদের পাঠানো টাকা।
https://bograsangbad.com || বগুড়া সংবাদ