[caption id="attachment_3765" align="alignnone" width="750"] বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট : ভোগান্তিতে রোগীর লোকজন[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় ১২ শত শয্যার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ও হাসপতালে রোগী ও লাশ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত বেসরকারী এ্যমা¦ুলেন্স পরিবহন সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে চালক ও মালিক পক্ষ। গতকাল সন্ধ্যায় ১জন এ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক কে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার কারনে এই ধর্মঘট ডেকেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন বেবী ও সাধারন সম্পাদক বাকিরুল ইসলাম জানান শজিমেক থেকে নিয়মিতভাবে রোগী আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত আনিকা এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর মালিক মোঃ আরিফ ও তার গাড়ী চালক মো. সুমন একটি রোগীকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে যায়। এমন সময় শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক মহোদয় তাদেরক এসে কোন কারন ছাড়াই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেস্তন্যাস্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরই প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে সকল এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ পরিষদ বগুড়া জেলা শাখা। সম্পাদক বাকিরুল ইসলাম আরো বলেন শুধু এই ঘটনা না একই দিনে সকাল ৭টায় আরো দুজন চালককেও হেস্তন্যাস্ত করা হয়্ । তাছাড়া ইতিপুর্বে একাধিক অনাংখিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা ভিতওে রোগী তুলতে গেলেই আমাদেও সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন এই সরকার এ্যাম্বুলেন্সকে সেবা খাত হিসেবে ঘোষনা করেছে। আমরা দিনরাত ২৪ ঘন্টাই এই সেবা দিয়ে থাকি। এছাড়া জরুরী সেবা ৯৯৯ আমরা সেবা দেই। গরীব, অসহায়, প্রতীবন্ধী ব্যক্তিদের আমরা ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকি। বাংলাদেশের সকল হাসপাতাল গুলোতে এ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য পার্কিং এর সুব্যবস্থা আছে, কিন্তু এই হাসপাতালে পার্কিং এর সুবিধা থাকলেও আমাদের গাড়ীগুলোকে সেখানে অনিবার্যকারন বশতঃ রাখতে দেয়া হয়না। অথচ সিএনজি ও থ্রি হুইলার গাড়িগুলো এই পার্কিং থেকে নিয়মিত চলাচল করে, কর্তপক্ষের সেদিকে নজর নেই। এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবো। এদিকে এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বগুড়া জেলার বাহিরের সকল রোগী ও লাশে’র লোকজন। বাধ্য হয়ে তারা ভ্যান সিএনজি ও ট্রাকে করে লাশ ও রোগী নিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বগুড়া স্টেডিয়াম ফাড়িঁর ইনচার্জ মিলাদুন্নবী জানান আমরা কাউকে গ্রেফতার করিনি। হাসপাতালের পরিচালক মহোদয় দুজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন । আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে রাতেই ছেড়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে পরিচালক মহোদয়ের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।