বগুড়া সংবাদ : ভোটারদের ভয় দেখালে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা কারও বলয়ের মধ্যে গিয়ে যদি ভোটারদের ভয় দেখান তাহলে সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা আমরা নির্বিঘ্নে বাতিল করে দেব। এরপর কোর্টে যেতে চাইলে যাবেন না হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। আপনারা অবশ্যই আচরণবিধি মেনে চলবেন। আজ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আপনারা ভোটারদের বলয়ের মধ্যে থাকবেন। আমরা দেখছি ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের ভালো সম্পর্ক নেই। তাই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না।ইসি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন আপনি যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় আপনি ভোট প্রদান করবেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি ওই এলাকায় থেকে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারবেন না। কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, কাউকে ভয় দেখাতে পারবেন না এবং আতঙ্কিত হোক এমন কোনো কাজও করতে পারবেন না। এরকম করলে কমিশন আপনাকে আইনগতভাবে ছাড়বে না।এজেন্ট নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এজেন্টরাই প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করবেন। এজেন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা হাতে নিয়ে তবে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাই আপনারা প্রতিটা কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ দিবেন। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পারভেজ রায়হান, অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার( অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, ১৬ বিজিবি নওগাঁর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান, বগুড়া জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসানসহ গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব, আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনও ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।