বগুড়া সংবাদ : এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে বগুড়া জিলা স্কুল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৩য় স্থানে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। গতকাল রবিবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসির ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে,
এ বছর বগুড়ায় মোট ৩৫ হাজার ২৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৩১ হাজার ৭০৭জন যা শতকরায় ৮৯ দশমিক ৯২ শতানংশ এবং জিপিএ -৫ পেয়েছে মোট ৬ হাজার ৫৭৪ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বগুড়া জিলা স্কুলে এবার মোট ২৩৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে শতভাগ পাশসহ ২৩০জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ৯৭ দশমক ৪৫ শতাংশ।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩১ জন যা শতকরায় ৯৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ৩৭১জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৪২জন যা শতকরায় ৯২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৪৪জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই পাশ করেছে। এদের মধ্যে ৪০৪জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন যা শতকরায় ৯০দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৩৪৮জনের সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১২ জন। যা শতকরায় ৮৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বগুড়া আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৩৬ জনের সবাই পাশ করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৩ জন যা শতকরায় ৮৬ দশমিক ০১ শতাংশ।
বগুড়া এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ থেকে এবার ৫৩ জনের সবাই পাশ করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন যা শতকরায় ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ।
টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১১২ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাশ করেছেন। তাদের মধ্যে ৯০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন যা শতকরায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের সবাই পাশ করেছে। এছাড়া তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৬ জন যা শতকরায় ৭২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এছাড়া বগুড়া বীট মডেল স্কুল কলেজ থেকে শতভাগ পাশ করেছে। নতুন এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীদের ১০জন জিপিএ -৫ পেয়েছে।
ফলাফলের বিষয়ে বগুড়া জিলা স্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফি জানান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফলাফল ভাল করেছে। এজন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীতে যেন শতভাগ শিক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায় সেদিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নজর থাকবে।