[caption id="attachment_3488" align="alignnone" width="750"] ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া বলে
নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চিঠি
দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন,
আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি[/caption]
বগুড়া সংবাদ : বগুড়া আদমদিঘী উপজেলার ১৮জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিকদের ৩৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যাতথ্য দিয়ে অসম্মানিত করায় আইনি পদক্ষেপ চেয়ে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার ১১ মে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে মুক্তি যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন অভিযোগ করেন। কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকারের আইনি বিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিক ভাইদের অসত্য তথ্য দিয়ে সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অসম্মানিত করার চেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব মিথ্যা অভিযোগকারী বিপথগামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা আদমদীঘি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক বিধি মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেট, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্রধারী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রদেয় সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছি। আদমদীঘির কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সরকারের
আইনের বিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। তারা বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকদের অসত্য তথ্য দিয়ে বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অসম্মানিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অসম্মানিত করলে ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি তার বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সিদ্ধান্ত মতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে
আমাদের জামুকা কর্তৃক অনুমোদিত গেজেট, ডিজিটাল সনদ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মিলিত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, মুক্তিযোদ্ধার ভাতার
তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সনদ, মুক্তিবার্তা (লাল তালিকা) নাম অন্তর্ভুক্তিসহ সরকারের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বিভিন্ন তালিকায় তাদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন আদমদীঘির এলাকার কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাংবাদিকদের ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া বলে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। অথচ আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা উক্ত ১৮ জনের ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদী বন্ধেরও সুপারিশ করেছে। এসব মিথ্যা অভিযোগকারী, বিপথগামী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের অনুরোধ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উদ্দিন মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাজ্জাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজালাল, বীর মুক্তযোদ্ধা জাহেদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়েন উদ্দিন। মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে রাঙ্গা হোসেন, মাছুমমা, রেহেনা, আকলিমা।