বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন প্রভাবশালী দুই নেতা। তাঁরা হলেন- শেরপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নে টানা পঞ্চম বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহ আলম পান্না ও পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ¦ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) আব্দুল আজিজ। গত রবিবার (০৫মে) রাত এগারোটায় উপজেলার মহিপুর বাজার খেলার মাঠে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিমের হাতে হাত রেখে দলটিতে যোগ দেন তারা। এসময় দলের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোকাল্লেম হোসাইন ওসমানী, সহসভাপতি ইমরান কামাল, সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান চুন্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সদ্য যোগদানকারি শাহ আলম পান্না ১৯৮৩ সালে ছাত্রাবস্থায় ছাত্রদলে যোগ দেন। ছাত্রজীবন শেষে বিএনপির শহর ও উপজেলা কমিটিতে ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি উপজেলা বিএনপি কমিটির সদস্যপদে ছিলেন। শাহ আলমের বড় ভাই আলহাজ¦ জানে আলম (খোকা) শেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র। অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে জানে আলম খোকা বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী ছিলেন। আর আব্দুল আজিজ বগুড়া-৫ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ছিলেন। তিনি দুই যুগের বেশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেরপুর উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান চুন্নু যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই দুই প্রভাবশালী রাজনীতিক তাঁদের দলে যোগদানের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাদের হাতে দলীয় প্রতীক হাতপাখা তুলে দেন। এর আগে ওই দুজন তাদের প্রাথমিক দলীয় সদস্য ভর্তি ফরমে সই করেছেন। বক্তব্য জানতে চাইলে শাহ আলম মুঠোফোনে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা মুসলমান, ইসলামের পথে থাকতে হবে। এজন্য আমি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলে যোগদান করেছি। বিএনপির চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের আদর্শ ভালো বলে দাবি করেন তিনি। শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপির রাজনীতি যখন শুরু হয় তখন থেকেই শাহ আলম ও তার পরিবার বিএনপির দলীয় আদর্শের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিকে শক্তিশালী করে তুলেছিল। তার অন্য দলে এভাবে যোগদান ক্ষণিকের জন্য দলীয় কর্মীদের কাছে কষ্টের হলেও বৃহত্তর রাজনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।