বগুড়া সংবাদ : বগুড়ার কাহালুতে পাওনা টাকা না পেয়ে তারাবী নামাজ শেষে কৌশলে একটি পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে ধারালো বড় একটি হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু রেদোয়ান (১৮)কে হত্যা করে তার বন্ধু আবু কাশেম (১৯)। গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাতাঞ্জ গ্রামে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানান, এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে থানায় আনা হয়। ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রেদোয়ানের বন্ধু মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র আবু কাশেম স্বীকার করে তিনি রেদোয়ানকে ১১ হাজার টাকা ধার দেন। সে টাকা আদায় করতে না পেরে রাগে দুপচাঁচিয়া ধাপের হাট থেকে একটি বড় হাসুয়া কিনে আনে। ঘটনার দিনে পুকুর পাড়ে সেই হাসুয়া লুকিয়ে রেখে দিয়ে স্থানীয় একটি মাচংয়ে বসে ছিলেন
আবু কাশেম। রাতে তারাবী নামাজ পড়ে রেদোয়ান বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে মোবাইলের সফটাওয়ার ইন্সটল করার কথা বলে ু আবু কাশেম বন্ধু রেদোয়ানকে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে রেদোয়ান মাথা হেলে মোবাইল ঘাটাঘাটি করার সময় আবু কাশেম হাসুয়া বের করে রেদোয়ানের গলার পিছনে কয়েকটা কোপ মারে। তারপরে জীবিত থাকায় আবার হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রেদোয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে যায় আবু কাশেম। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার পর সন্দেহভাজন ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর রেদোয়ান
হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে থানা পুলিশ। নিহত রেদোয়ান পাতাঞ্জ পূর্বপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব মেরাজুল ইসলামের পুত্র। গ্রেফতারকৃত আবু কাশেম একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র। হত্যাকান্ডের ব্যবহার করা হাসুয়া শনিবার পুলিশ আবু কাশেমকে নিয়ে গিয়ে ঘঁটনাস্থল হতে উদ্ধার করেন। এই ঘঁটনায় রেদোয়ানের পিতা আলহাজ্ব মেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানান, আবু কাশেম রেদোয়ানের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে সেই ক্ষোভে এই হত্যাকান্ড একাই ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে।