বগুড়া সংবাদ :শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিইউজে) আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯মাস সারা দেশে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা যে হত্যাযজ্ঞ চালায় তা বিশে^র অন্যান্য স্বীকৃত গণহত্যার চেয়ে ছিলো ভয়াবহ। একারণেই
বাংলাদেশের এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ওই ৯মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে, একইসাথে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতের পরও অর্থাৎ বিজয়ের ঊষালগ্নে এদেশের বিপুল সংখ্যক সূর্যসন্তানকে তারা হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার হলেও পলাতক অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের ফিরিয়ে এনে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তের ঋণ শোধ করতে সেই শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। বিইউজে সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএফইউজেÑবাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিকইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। বিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, বিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঠা-া আজাদ ও আরিফ রেহমান, করতোয়া ইউনিট চিফ মাসুদুর রহমান রানা, সিনিয়র সাংবাদিক মোহন আখন্দ, আব্দুস সালাম বাবু, ফরহাদুজ্জামান শাহী, বিধান চন্দ্র সিংহ, খায়রুল আহসান প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবী সূচনালগ্ন বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বগুড়া কেন্দীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।