বগুড়া সংবাদ : জমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় বগুড়ার শাহ ফতেহ আলী সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও সেটি চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় ২৫টি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। এতে সেতুটির পশ্চিম অংশের ১০ শতক জমি ও সাবগ্রাম এলাকায় সরকারিভাবে ১৫ শতক জমি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, জমি অধিগ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান, বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহুল আজমসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চলতি বছরেই শেষ হবে শাহ ফতেহ আলী সেতুর নির্মাণ কাজ। সেতুটির চুক্তি মূল্য ১৯ কোটি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৬ টাকা। কিন্তু উদ্বোধনের পর জমি অধিগ্রহণ ও পিলার খনন জটিলতায় আটকে ছিল ফতেহ আলী সেতু নির্মাণ কাজ। এখন সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ। এদিকে সেতুটি পুনঃনির্মেণের জন্য ভেঙে ফেলার পর জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিকল্প সড়ক হিসেবে পথচারীদের পারাপারের জন্য বাঁশের সেতু তৈরি করে দেয়া হয়েছে। চলাচলের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের পরিদর্শন ও সুপারিশের ভিত্তিতে বর্তমানে বাঁশের সেতুর পাশ দিয়ে বিকল্প আরেকটি ভাসমান সেতু তৈরি করে হয়েছে। ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দুপাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে এই সেতুর নকশায়। এ সেতুটি পুনঃনির্মাণ হলে বগুড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। ফতেহ আলী সেতুটি বগুড়াবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। পূর্ব বগুড়ার তিনটি উপজেলার মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হবে। ফলে ঐ তিন উপজেলার কৃষি পণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর নদী গর্ভে ১৮ মিটার বোরিং শেষে ৩ থেকে ৫ মিটার পাথরের লেয়ার পাওয়া যায়। যে কারণে কাজের কিছুটা ধীরগতি হয়েছিল। এছাড়া জমি অধিগ্রহণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেটি বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জমি অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। সড়ক বিভাগ আশা করছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।