
কামাল আহমেদ শেরপুর (বগুড়া থেকে ঃ তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে কৃষকেরা। চাষের সময় চারা সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। শেরপুর উপজেলার খিকিন্দা গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন ভোরের ডাককে জানান, চলতি মৌসুমে সাড়ে ৮ বিঘা জমিতে বোরো চাষের চিন্তা ছিলো কিন্তু চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব নয়। একই এলাকার কৃষক ফারুক ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকালে বীজতলার স্প্রে করেও কোনও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। চারার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আবাদ নিয়ে এবার চিন্তাগ্রস্ত তিনি। শৈত্যপ্রবাহে বীজতলা যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার চেয়ে আগত শৈত্যপ্রবাহ বেশি হওয়ার পূর্বাভাসে কপালে ভাজ পড়েছে উপজেলার সব কৃষকদের। কোল্ড ইনজুরি থেকে বাঁচাতে সন্ধ্যায় বীজতলা পানি দিয়ে পূর্ণ করে তা সকালে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। এছাড়া সালফার জাতীয় ওষুধ স্প্রে করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবারে উপজেলায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো বীজতলা করা হয়েছে এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৭৭ হেক্টর।