বগুড়া সংবাদ: পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর হোসেন আলীর বিরুদ্ধে ৯ ডিসেম্বর-২০২৫ তারিখ রাতে সোনাতলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার গড়ফতেপুর গ্রামের শাহীন আলমের স্ত্রী ছনিয়া আকতার মিতু। মিতু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় উল্লেখ করেন যে,হোসেন আলী নামে পোস্টাল অপারেটর সোনাতলা পোস্ট অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার মাধ্যমে আমি (মিতু) ৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করি। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই আমি ১৮/১১/২৫ তারিখে সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে পোস্ট মাস্টারের কাছে যাই। পোস্ট মাস্টারকে টাকা জমার কাগজ দেখালে পোস্ট মাস্টার আমাকে বলেন এ কাগজ সঠিক নয়,ভূয়া। এ কাগজ মূলে মিতুর নামে পোস্ট অফিসে পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা নেই। এ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ হিসেবে হোসেন আলী বলেন পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় সংক্রান্ত এফডিআর করা আমার কাজ বা দায়িত্ব নয়। আমার দায়িত্ব হলো চিঠি রিসিভ করা ও বীমা পার্সেল করা। আমার জানামতে পোস্ট অফিসের নিয়মানুযায়ী একলাখ টাকার অধিক সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের টাকা নগদ নেয়ার বিধান বা নিয়ম নেই। একলাখ টাকার অধিক হলে চেকের মাধ্যমে পোস্ট মাস্টার টাকা গ্রহণ করেন এবং গ্রাহককে হাতে লেখা ডকুমেন্ট দিয়ে থাকেন। যদিও ওই সময় আমি সোনাতলা পোস্ট অফিসে কর্মরত ছিলাম। কিন্তু উক্ত মহিলার সাথে পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় ব্যাপারে আমার সাথে কোনো দেখা হয়নি ও কথা হয়নি। পরবর্তীতে আমি গাইবান্ধা প্রধান পোস্ট অফিসে বদলী হয়ে যাই। বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছি। ছনিয়া আকতার মিতু আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে যে সকল বিষয় উপস্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন যে, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।