বগুড়া সংবাদ :বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর শিশু কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়িতে সাফল্য অর্জন করলো বগুড়ার তিন ক্ষুদে কণ্ঠশিল্পী। এই প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংঙ্গীতে ফাইনাল রাউন্ডে সেরাদশের, চতুর্থ স্থান অর্জন করে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজর চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রজন্ম সান্যাল ঋক।
লোক সংগীতে সেরা দশের ফাইনাল রাউন্ডে চতুর্থ স্থান অর্জন করে বগুড়া বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মুহতাসিম মোবাশ্বির অর্ক।
আধুনিক গানে ঢাকায় চুড়ান্ত বাছাই পর্ব থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সেরা দশে স্থান করে নেয় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সৌমিকা লাহিড়ী।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রজন্ম সান্যাল ঋক এর পিতা সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও কণ্ঠশিল্পী প্রনব কান্ত সান্যাল ও মা শর্মিলা মজুমদার। বসবাস করছে বগুড়া শহরের জলেশ^রীতলায়। আঞ্চলিক পর্বে, নজরুল এবং রবীন্দ্র সংঙ্গীত ক বিভাগ থেকে প্রতিযোগিতায় ইয়েস কার্ড পেয়ে বিভাগে সাফল্য পেয়ে ঢাকা পর্বের জন্য মনোনীতি হয়। চুড়ান্ত বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে রবীন্দ্র সংঙ্গীতে সেরা দশে স্থান এবং সেরা পাঁচ অর্থাৎ ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করে চতুর্থ স্থান লাভ করে। প্রজন্ম সান্যাল ঋক তার বাবা প্রনব কান্ত সান্যাল এর কাছে পাঁচ বছর বয়স থেকে সংঙ্গীত শিক্ষা শুরু করে। এছাড়াও সে স্বপন মুখার্জি, বিমল কবিরাজ, রিপন দত্ত, মিলন ভট্টাচার্য, মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার, সত্যম দেবনাথ এর কাছে সংঙ্গীতে তালিম গ্রহণ করে। ভবিষ্যতে সে একজন ভালো শিল্পী হতে চায়। বর্তমানে সে বগুড়ার ত্রিতাল শিশু মনন বিকাশ কেন্দ্রের একজন প্রশিক্ষনার্থী।
মুহতাসিম মোবাশ্বির অর্কের পিতা মোঃ আশরাফুল আলম ও মাতাঃ উম্মে মুহসিনা আক্তার জাহান। থাকেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার পশ্চিমপাড়ায়। সে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। আঞ্চলিক ও বিভাগ পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বাছাই এ লোক সংঙ্গীতে সেরা দশের পর সেরা পাঁচে বা ফাইনাল রাউন্ডে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। সংঙ্গীতের প্রতি অনুপ্রেরণা দেন তার দাদা ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ বগুড়ার প্রাক্তন বাংলা বিভাগের প্রভাষক কবি শাজাহান সাকিদার। তার সঙ্গীত শিক্ষাগুরু আব্দুল বারী। কণ্ঠশিল্পী ডালিয়া। বর্তমানে প্রণব কান্ত স্যানালের কাছে সঙ্গীত শিক্ষারত অবস্থায় আছেন। বর্তমানে অর্ক সপ্তসুর সংগীত একাডেমির একজন প্রশিক্ষণার্থী।
সৌমিকা লাহিড়ীর বাবা সৌম্য লাহিড়ী ও মা সুমা লাহিড়ী। থাকেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায়। ৪ বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু। সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ত্রিতাল শিশু মনন বিকাশ কেন্দ্র, সুর সারগাম সঙ্গীত বিদ্যালয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি বগুড়া। গানের প্রথম হাতে খড়ি প্রণব কান্ত স্যানাল, আব্দুল আলিম, রোজিনা আলিম, স্বপন মুখার্জি, রিপন দত্ত, তবলায় প্রথম হাতে খড়ি বিমল কবিরাজ ও ড.দীনবন্ধু পাল (প্রফেসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংঙ্গীত বিভাগ)
সৌমিকার নানা রকম অর্জন রয়েছে। শিশু শিল্পী হিসেবে বগুড়ায় বেশ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। সঙ্গীতের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বার বার হয়েছে শ্রেষ্ঠ। জাতীয় পর্যায়ে সৌমিকা নয়বার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে এবং নতুন কুঁড়ি ২০২৫ এ আধুনিক গানে ঢাকায় চূড়ান্ত বাছাই পর্ব থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে টপ টেনে মনোনীত হয়। ২০২১ ও ২০২৩ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় নজরুল সংঙ্গীতে ১ম স্থান,, ভাবসংঙ্গীতে ১ম স্থান, রবীন্দ্র সংঙ্গীতে ১ম স্থান, দেশাত্মবোধক গানে ২য় স্থান ও তালযন্ত্র তবলায় ৩য় স্থান অর্জন করে তিনটি গোল্ড মেডেল ও দুইটি রৌপ্য মেডেলও অর্জন করেছিলো সৌমিকা। এই বছর ২০২৫ এ বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শাপলা কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংঙ্গীতের তৃতীয় স্থান এবং লোকসঙ্গীতে প্রথম স্থান অর্জন করে বর্তমানে সৌমিকা ত্রিতাল শিশু মনন বিকাশ কেন্দ্রের একজন প্রশিক্ষনার্থী।