বগুড়া সংবাদ : গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ৫ নং ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এর বাদলাশন গ্রামের গভীর নলকূপ বি-৫৪ (সওকা)র সদস্য কৃষক এনামুল হক ফকির। তিনি ২ মার্চ শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ সরকারের গভীর নলকূপ বি-৫৪ (সওকা) সম্পর্কে বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাহার হেডলাইনটি ছিল ্য়ঁড়ঃ;নন্দীগ্রামে নলকূপ বসানোর জেরে সংঘর্ষের আশঙ্ক্য়াঁড়ঃ;। তিনি উল্লেখ করেন উক্ত হেডলাইনটিই মিথ্যা এবং বানোয়াট।তিনি আরো অভিযোগ করেন উল্লেখিত সংবাদে তালা ভেঙ্গে গভীর নলকূপ দখল, ১০ জন নতুন সদস্য অর্ন্তভূক্তি এবং উক্ত ব্যক্তিদের কোন তফসিল বর্ণিত কোন জমি-জমা নেই এবং তারা বহিরাগত যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রতিপক্ষদের অভিযোগ পানি সেচ বাবদ ৮৫ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ অফিসে জামানত ২৫ হাজার টাকা, নলকূপের নতুন পাইপ লাইনের কাজে
১লাখ ৫ হাজার টাকা এবং শ্রমিক লীগের সভাপতি রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় জবরদখল করেছেন বিষয়গুলি মনগড়া ও ভিত্তিহীন। গভীর নলকূপটি একটি সরকারী সম্পদ। বি-৫৪ (সওকা) যাহা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। প্রতিপক্ষরা এমন এক সময় অভিযোগ করেছেন যখন বোরো-মৌসুম দৃশ্যমান। প্রতিপক্ষদের অভিযোগ তালা ভেঙ্গে প্রবেশ বিষয়টি মিথ্যা। গভীর নলকুপটি সাবেক আবুল কালাম আজাদ (বাবু) অপারেটার সহ ১৪ জন একই মহল্লার সদস্য যখন পরিচালনা করার সময় তারা নিজেদের জমি আগে সেচ প্রদান করতো, গভীর নলকূপ এর সীমানার ভিতরে দুটি ওয়ান-ফেস বিদ্যুৎ লাইন অবৈধ ভাবে পরিচালনা করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দেয়। এ বিষয়ে গ্রামের ৯৫ ভাগ কৃষক অভিযোগ করে রেজুলেশন করে উপ-
সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) বগুড়া এর স্মরণাপন্ন হন। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য নন্দীগ্রাম, কাহালু-৩৯, বগুড়া-৪ উপজেলা চেয়ারমান, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারমান, ৫ নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারমান ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বারদের নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে নন্দীগ্রাম থানাধীন ৫ নং ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এর বাদলাশন গ্রামের গভীর নলকূপ বি-৫৪ (সওকা) গত ৮ ফেব্রুয়ারী নলকূপটির পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেন এবং অপারেটর নিয়োগ দেন। সেইক্ষেত্রে তালা ভাঙ্গার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। বর্তমানে বোরো মৌসুম চলমান। একটি মহল স্বার্থের জন্য সংঘাতের নামে গুজব ছড়াচ্ছে।জামানতের টাকা পাইপলাইন বি-৫৪ (সওকা) এর
সম্পদ। সেই জামানতের টাকা সদস্যরাই দিয়েছে, তারা ১০ জন সদস্যকে বহিরাগত এবং তাদের কোন সম্পদ নেই, এটি একটি মিথ্যা গুজব। উক্ত ১০ জন সদস্য বাদলাশন গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার এবং সম্পদশালীও বটে। তাহাদের বয়স ২৮ থেকে ৪০ বছর। তাদের অভিযোগ শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ এনামুল হক তালা ভেঙ্গে দখল নিয়েছে এটি একটি ষড়যন্ত্র। প্রতিপক্ষরা জামাত, বিএনপির দোসর।তারা মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে হুমকি-ধামকি প্রদান কর প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করেন এবং পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক,সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোরশেদুল ইসলাম,এনামুল হক প্রাং,হাফিজার রহমান,রেজাউল করিম,আরিফুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম,কাউসার আলী ও গোলাম আযম।