বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল সুবিধাভোগিদের না দিয়ে পাচারের চেষ্টা ও অবৈধ ভাবে গুদামে মজুত রাখার অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর দুই ডিলারের ডিলারশীপ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাতিল হওয়া ডিলাররা হচ্ছেন, আদমদীঘি সদরের তালশন গ্রামের মৃত খতিজ সরকারের ছেলে আব্দুস ছাত্তার সরকার ও শিবপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিন প্রামানিকের স্ত্রী সাহিদা বেগম। বুধবার বিকেলে আদমদীঘি উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসুচী বাস্তাবায়ন কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর অগ্রগতি উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার আবুল বাসার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির অপর সদস্য উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম প্রধান, গুদাম ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। সভায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খন্দকার আবুল বাসার জানান, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল পাচারের চেষ্টা ও অবৈধ ভাবে গুদামে মজুত রাখায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহমুদা সুলতানা গত ২৮ আগষ্ট সরকারি কর্মসুচীর খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর ডিলার আব্দুস ছাত্তার সরকারের অবৈধ ভাবে রাখা একটি গুদাম থেকে ১১৫ বস্তায় মোট ৩,৪৫০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় ডিলার আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অপদিকে একই ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডিলার সাহিদা বেগমের পাচার কালে রাস্তা থেকে ৩৪ বস্তা চাল ও ভাড়া গুদাম থেকে সরকারি খাদ্যবান্ধব লেখা ৫১ বস্তা ও প্লাষ্টিক বস্তায় রাখা আরো ৩৫ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তায় ৫.৮৩০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ডিলার সাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সভায় উল্লেখিত দুই ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ টাকা কেজির চাল সুবিধাভোগিদের না দিয়ে পাচারের চেষ্টা ও অবৈধ ভাবে গুদামে মজুত রাখার অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের ডিলারশীপ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।