বগুড়া সংবাদ: বগুড়ার কাহালু উপজেলা সাবানপুর-থালতা মাজগ্রাম রাস্তা উন্নয়নের আওতায় (নিমারপাড়া-সিয়ামপুকুর) ৪ কিঃ ৭”শ ৬০ মিটার রাস্তাটি রাজশাহী বিভাগ “পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প” ২০২১/২২ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২”শ ৬৬ টাকা। রাস্তার কাজ ০১/০৪/২০২২ শুরু এবং ৩০/০৬/২০২৩ হওয়ার কথা থাকলেও কাজটি ঠিকাদার যথাসময়ে সমাপ্ত করতে ব্যর্থ হন। কাজটি পান ঠিকাদার খাররুল কবির রানা, তিনি ঐ বছর রাস্তা খনন করে প্রায় ৩ বছর যাবত ফেলে রেখে উধাও হয়ে যান ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। এরই এক পর্যায় অন্তবর্তী কালিন সরকারের সময় (অলিখিত ভাবে) ঠিকাদার বদল করে কাজটি শুরু করা হয়। সম্প্রতি গত সপ্তাহে ঠিকাদারের লোকজন রাস্তারটি কাপেটিং কাজ শেষ করেন। রাস্তা নির্মাণ ও কাপেটিং এর সময় এলাকাবাসী রাস্তার কাজের ব্যাপক অনিয়ম করে নি¤œ মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে যেন-তেন ভাবে কাজ করা হচ্ছে মর্মে স্থানীয় প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বরত উপ-সহকারি প্রকৌশলী শামীমকে জানানো হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করে নাই।
এদিকে কাজ শেষ করার এক সপ্তাহ না যেতেই রাস্তার ফাটল ও রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে কাপেটিং উঠে যাচ্ছে। এ বিষয়টি অত্র এলাকার জনসাধারণ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ প্রচার করা করলে গত রোববার ঠিকাদারের লোকজন বিষয়টি ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে গ্রামবাসীকে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় সোমবার সকালে বান্দাইখাড়া গ্রাম সহ এলাকাবাসী ঠিকাদারের অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেন। উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসীর মধ্যে বান্দাইখাড়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, আবুল হোসেন, জিল্লুর রহমান, রমজান আলী, নুরুল ইসলাম, আবুজর, হাফিজার রহমান গোলাম মোস্তফা, আবুর কাসেম, শহিদুল ইসলাম, আবির, শোয়াইব, হুরাইফা, জাকির ফেরদৌস রবিউল ইসলাম সহ অত্র এলাকার প্রায় ২ শতাধিক লোকজন।
ঠিকাদার খায়রুল কবির রানা জানান, আমি বরাদ্দ কম হওয়ায় উক্ত রাস্তার কাজ করতে অপরাগতা জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমার লাইসেন্স ও সিডিউল ঠিক রেখে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করে আমার নাম ব্যবহার করছি।
কাহালু উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী এ বি এম শামীম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, রাস্তার কাজ নি¤œমানের হলে পুনরায় ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ করে নেওয়া হবে।