বগুড়া সংবাদ : দুপচাঁচিয়ায় সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সরকারি সনদপ্রাপ্ত কয়েক জন দলিল লেখক সেরেস্তা ও তাদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৪সেপ্টেম্বর ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদন সূত্রে জানা যায়, সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সরকারি সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক এটিএম ফরিদুজ্জামান বুলু, জালাল উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম দলিল লেখক সেরেস্তায় নিয়মিত ভাবে দলিল কার্যাদি সম্পাদন করে আসছে। কিন্তু তাঁরা সমিতির নামে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের রাজী না হওয়ায় উক্ত অফিসের দলিল লেখক মইনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, দবির উদ্দিন তাঁদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাঁরা দলিল গ্রহীতাদের নিকট হইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। বর্তমানে তাঁরা দলিলের নকল প্রতি ৫’শ টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে যা বেআইনী ও দন্ডনীয় অপরাধ। স্বনামধন্য সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক এ.টি.এম. ফরিদুজ্জামান বুলু অসুস্থ কারণে তার সেরেস্থায় দলিল লেখকসহ সহকারী দ্বারা দলিলের কার্যাদি সম্পাদন করে থাকে এবং দেরেস্থার ও সেবা গ্রহীতাদের সুবিধার্তে ও নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। কিন্তু কিছু অসাধু দলিল লেখক অবৈধভাবে টাকা তোলা ও নকলের অতিরিক্ত টাকার ভাগ বাটোয়ারা করিয়া থাকেন মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের কুর্কম, অনৈতিক লেনদেন ও অবৈধ টাকার ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টি সকলের নজরে প্রকাশ পাবে।তাই গত ৩সেপ্টেম্বর তারিখে সিসিক্যামেরাটি অজ্ঞাত ব্যক্তিবর্গ দ্বারা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে যায়। দিনের বেলা লোকজন থাকা স্বত্তেও যেখানে চুরি হতে পারে সেখানে রাতের বেলা সেরেস্থার নিরাপত্তা কোথায়। তারা ক্যামেরা গুলো সেবা গ্রহীতা ও সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে সচল রাখার জন্য ইউএনও’র নিকট অনুরোধ করেন।
দলিল লেখক মইনুল ইসলাম ও দবির উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদেরকে সমাজে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার শাহরুখ খাঁন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।