বগুড়া সংবাদ : বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের নামে অটোরিকশা ভাংচুরের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলনে করেছেন জেলা যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (২সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়া প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে বলতে যাই যে-বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের নামে একটি মিথ্যা অটোরিকশা ভাংচুরের ঘটনা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। আমাদের সংগঠনের নাম ব্যবহার করে এই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ।
প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বগুড়া সদর উপজেলা ও জেলা যুবদল সবসময় শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের কর্মীরা কখনোই জনসম্পদের ক্ষতি করে না কিংবা সাধারণ মানুষের যানবাহন ভাঙচুরের মতো ন্যাক্কারজনক কাজে জড়িত নয়। কিন্তু পলাতক ফ্যাসিস্টের দোসর ও অসাধু মহল যুবদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরকম বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে ঘাপটিমারা আওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। নইলে দুষ্কৃতিকারীদের দাপটে দেশ আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
জেলা যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তাহলে দেশের প্রকৃত গণতন্ত্র সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-এই ঘটনার সঙ্গে বগুড়া জেলা বা সদর উপজেলা যুবদলের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের ওপর দায় চাপিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার স্পষ্টভাবে বলেছেন- যে কোনো দলীয় নির্দেশ অমান্য করা, ব্যক্তিস্বার্থে দলকে ব্যবহার করা কিংবা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা মোটেই বরদাশত করা হবে না। তিনি কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে বা নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে সাংগঠনিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িতদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।
সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।