বগুড়া সংবাদ : বগুড়ায় র্যাবের অভিযানে ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৩ টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত জ্যাকস্ক্রু, রেঞ্জ, হাতুরি ও লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই ডাকাত সর্দারের নাম তাহাজুল ইসলাম তাহাজ্জুল (৩৮)। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদিপুরের মৃত আঃ জলিলের ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার মীর মনির হোসেন। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তাহাজুল নামে ওই ব্যক্তি ডাকাত দলের সর্দার। তার নামে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির মোট ১৪ টি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক গরু চুরি ও ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে ওই ডাকাত সর্দার।’ এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের জামাল হোসেন নামে এক গরু ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে করে ২২ টি গরু নিয়ে নীলফামারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে শিবগঞ্জ থানার রহবল এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতদলের কবলে পড়েন। তখন ডাকাতরা ওই গরু ব্যবসায়ী এবং তার সহযোগিদের হাত-পা বেঁধে জমিতে ফেলে গরু নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তিনি শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।র্যাব কর্মকর্তা মীর মনির হোসেন বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর র্যাবের চৌকস টিম এই চক্রকে ধরতে অভিযানে নামে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবগঞ্জের আলাদিপুর এলাকা থেকে ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।আসামির বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার ওই ডাকাত সর্দার তার সহযোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেন। তার নামে এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১৪ টি চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া জেলার সদর থানায় ০৬টি, নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় ০২টি, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় ০২টি, রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় ০১টি, জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় ০১টি, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় ০১টি, জয়পুরহাট কালাই থানায় ০১টি মামলা রয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত সর্দারের বরাত দিয়ে মীর মনির হোসেন আরো জানান, এই চক্রের কয়েকজন সক্রিয়ভাবে ডাকাতি করে। কয়েকজন ডাকাতির মালামাল অন্যত্র পরিবহন করে নিয়ে যায়। আর অন্যান্য সদস্যরা লুন্ঠনকৃত মালামাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। তাদের নির্দিষ্ট ক্রেতা রয়েছে। এ যাবত ৫/৬ শত গরু চুরি/ডাকাতি করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিকে শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন সময়ে আমরা এ পর্যন্ত এই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছি। এছাড়াও ডাকাতি হওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা গেলেও সব গরু এখনো উদ্ধার হয় নি। আগামীকাল ওই ডাকাত দলের সর্দারকে আদালতে পাঠানো হবে।