বগুড়া সংবাদ : মঙ্গলবার দিনব্যাপী স্থানীয় শতাধিক মানুষের চক্ষু পরীক্ষা করা হয় সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায়। বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র আয়োজনে এসব রোগীদের শতভাগ সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বগুড়া খ্রিস্টান মিশন হাসপাতাল মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চক্ষু ক্যাম্পে অংশ নেওয়া সব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাপত্র, ওষুধ, চশমা বিতরণ করা হয়। এছাড়া চোখে ছানি পড়া রোগীদের অপারেশনের জন্য বাছাই করেন চিকিৎসক দল। দীর্ঘদিন যাবত সংস্থাটি এ এলাকায় চক্ষু শিবির ক্যাম্প করে আসছে। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সুখ দুখের সাথি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শীতের কুয়াশার মধ্যেও ভোর থেকে চোখের সমস্যা নিয়ে রুগিরা এখানে আসতে শুরু করে। অনেক দিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন তোফাজ্জল জানান, চোখ দিয়ে প্রতি নিয়ত পানি ঝরছে, ভাল করে দেখতে পারছিনা। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছিনা। বগুড়া ওয়াইএমসিএ চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেছে লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে এসেছি। চিকিৎসা নিয়ে দৃষ্টি ফিরে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা বলেন, এমন চক্ষুসেবা কার্যক্রম আমাদের জন্য কত বড় একটা উপকার বয়ে এনেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। এখানে এ সুযোগ না পেলে আমরা সাধারণ জনগণের সমস্যার সমাধান পেতে অনেক কষ্ট পেতে হতো।
এ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, মনের কথা বলতে হলে চোখের দৃষ্টি অত্যাবশ্যক। দৃষ্টি দান এক মহৎ উদ্যোগ। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বগুড়া ওয়াইএমসিএ।
মেডিক্যাল টিমে থাকা প্যারামেটিকস অপথালটিকস মিঃ দীলিপ মারান্ডী বলেন, এখানে এসে বিভিন্ন বয়সী রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে দেখতে পাচ্ছি বেশির ভাগই ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন। অথচ তারা বিষয়টি আগে বুঝতেই পারেনি। এ ছাড়া অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা আছে। কিছু ব্যক্তিদের জটিল সমস্যাও পেয়েছি। আমরা তাদের আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেছি। সেখানে আরো উন্নত পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় সব রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র ইপকপ প্রকল্পের ম্যানেজার জাকির হোসেনসহ প্রমুখ।