[caption id="attachment_10312" align="alignnone" width="532"] বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আত্মগোপন করেও রক্ষা হলো না শাজাহানপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুরুজ্জামানের[/caption]

বগুড়া সংবাদ  : থানায় পুলিশের উপর হামলা, হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক, জমি দখলসহ ১৩টি মামলার আসামী ঢাকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাসে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হলো না বগুড়া শাজাহানপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানের (৪০)।

ঢাকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে রাখা সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকার আশুলিয়া থানা পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারী) রাতে শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্ত্রাসী নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে শাজাহানপুরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আনন্দ ও স্ব:স্তি প্রকাশ পেয়েছে।

গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রাজধানী ঢাকা শহরে আত্মগোপনে ছিল শাজাহানপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান। আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে সে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। একপর্যায়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ঢাকা’র সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাসে সে আত্মগোপন করে। সেখানেও তার শেষ রক্ষা হলোনা। পরিচয় গোপন করে অবৈধভাবে ছাত্রাবাসে অবস্থানের বিষয়টি টের পেয়ে যান ওই বিশ^বিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান কে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ অবরুদ্ধ নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ এপ্রিল রাত ৯টায় বগুড়ার শাজাাহনপুর থানাধীন আড়িয়া বাজার এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মিঠুন হাসান (৩০) কে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। ওই আসামীকে ছিনিয়ে নিতে ওইদিন রাত ১০টার দিকে দলবল নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশের উপর হামলা চালায় নুরুজ্জামান। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই দিন রাতেই থানা পুলিশ নুরুজ্জামানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযানকালে ২টি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ২টি বার্মিজ চাকু, ২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার এবং হামলাকারিদের ব্যবহৃত ৩৬টি মোটর সাইকেল জব্দ করে পুলিশ। থানায় ঢুকে পুলিশের উপর হামলা এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নুরুজ্জামান জেলা হাজতে আটক থাকার পর সে জামিনে মুক্ত হয়। এরপর ৫ আগষ্ট হসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে নুরুজ্জামান এলাকা সন্ত্রাসীর স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে ছিল। নিজেকে বড়ভাই সেজে গড়ে তুলেছিল এক বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে গত বছরের ২১ এপ্রিল কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতায় লীড নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় দলবল নিয়ে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্রবাজি, হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক, জমি দখলসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।